মোহাম্মদ জামিল (৪৮)। ছোটবেলা থেকেই তার স্বপ্ন ছিল হেঁটে সৌদি আরব গিয়ে হজ পালন করার। নিজের স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিতে গত বছরের ১৬ ডিসেম্বর টেকনাফ জিরো পয়েন্ট অলিয়াবাদ জামে মসজিদে ফজরের নামাজ আদায়ের পর সৌদি আরবের উদ্দেশ্যে রওনা দেন।

প্রায় সাড়ে তিন মাসের এ সফর শেষে তিনি পায়ে হেঁটে ইরানে পৌঁছেছেন। গত ১৯ মার্চ পাকিস্তানের রিমদান সীমান্ত হয়ে ইরানে প্রবেশ করেন তিনি।

মোহাম্মদ জামিল কক্সবাজারের টেকনাফ পৌরসভার কায়ুকখালীয়াপাড়ার বাসিন্দা। তিনি টেকনাফ আইডিয়াল পাবলিক স্কুলের প্রধান শিক্ষক

টেকনাফ পৌরসভার মেয়র হাজি মোহাম্মদ ইসলাম বলেন, ৩ মাস আগে শিক্ষক জামিল অলিয়াবাদ জামে মসজিদে ফজরের নামাজ আদায়ের পর মা-বাবার কবর জিয়ারত করে হজের উদ্দেশ্য রওনা দেন। ১৯ মার্চ তিনি পাকিস্তানের রিমদান সীমান্ত হয়ে ইরানে প্রবেশ করেন। জামিল এ উদ্যোগ প্রশংসার দাবিদার।

জামিল হোয়াটস অ্যাপ বার্তার মাধ্যমে জানান, গত ১১ ফেব্রুয়ারি বেনাপোল সীমান্ত দিয়ে তিনি ভারতে প্রবেশ করেন। এরপর ৩ মার্চ ভারতের ওয়াগ্গা সীমান্ত দিয়ে পাকিস্তানে প্রবেশ করেন। ১৯ মার্চ পাকিস্তানের রিমদান সীমান্ত হয়ে ইরানে প্রবেশ করেন। এখন ইরানের বন্দর আব্বাসে অবস্থান করছেন। তবে হাঁটতে হাঁটতে ক্লান্ত হয়ে যাওয়ায় ভারত ও পাকিস্তানে কিছু জায়গায় তিনি গাড়িতে চড়ে পাড়ি দিয়েছেন।