বগুড়ার আদমদীঘির সান্তাহারে এক সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি কেজি তরমুজ ৮০-৯০ টাকা থেকে ৩০-৪০ টাকায় নেমে এসেছে। এরপরও ক্রেতা না মেলায় ব্যবসায়ীদের কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে।

ফল ব্যবসায়ীরা বলছেন, আগে মানুষ রোজায় ইফতারিতে তরমুজ রাখতেন। এবার দাম অতিরিক্ত বেশি হওয়ায় ক্রেতারা মুখ ফিরে নেওয়ায় বাজার দর পড়ে গেছে। এতে ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হলেও ভোক্তাদের মাঝে স্বস্তি দেখা দিয়েছে।

ফল ব্যবসায়ীরা জানান, রমজানের শুরুর দিকে তাপমাত্রা বেশি থাকায় তরমুজের চাহিদা ছিল। এ কারণে মানভেদে প্রতি কেজি তরমুজ ৮০ থেকে ৯০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়।

তখন দোকানগুলোয় ক্রেতাদের ভিড় থাকত। সপ্তাহখানেক পর আবহাওয়া শীতল হওয়ায় তরমুজের চাহিদা অনেকটা কমে যায়। ফলে প্রতি কেজি ৫০ টাকায় নেমে আসে। এখন মাত্র ৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করলেও ক্রেতা মিলছে না।

দাম কম হওয়া প্রসঙ্গে সান্তাহার ফল ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি সাগর খান বলেন, এবার রোজার শুরুতে দাম আকাশচুম্বী হওয়ায় ভোক্তারা তরমুজ থেকে মুখ ফিরিয়ে নেন। ফলে বাজারে ধস নামে। এখন মূল্য প্রায় তিনগুণ কমে যাওয়ায় ভোক্তারা লাভবান হলেও ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।