মেয়ের জামাইয়ের সন্ধান চেয়ে শাশুড়ির পুরস্কার ঘোষণা

মেয়ে ও এক বছরের নাতনিকে রেখে পা’লিয়েছে জামাই। যাওয়ার সময় জুয়েলারী দোকানের ৬০ ভরি রুপা ও অপর এক মেয়েকে সঙ্গে নিয়ে গেছেন তিনি। এখন ছেলেকে গুম করার অভিযোগে থানায় উপস্থিত জামাইয়ের মা, আর হারানো রুপা ফিরিয়ে দিতে উপর্যুপরি চাপ দিচ্ছেন জুয়েলার্সের মালিক।

সব মিলিয়ে দিশাহারা অবস্থা শাশুড়ির। তাই বাধ্য হয়ে প্রতারক জামাইয়ের সন্ধান পেতে পুরস্কার ঘোষণা করেছেন তিনি।

শুক্রবার (১৬ মে) নাটোরের বড়াইগ্রামে ঘটনাটি ঘটেছে। প্রতারক মেয়ে জামাইয়ের সন্ধান পেতে উপজেলার জোনাইল বাজারে প্রকাশ্যে ১০ হাজার টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেছেন শাশুড়ি আনোয়ারা বেগম।

অভিযোগকারী শাশুড়ি জানান, ‘চার বছর আগে আমার মেয়ের সঙ্গে দোলন গ্রামের সিয়াম হোসেনের পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। তাদের এক বছর বয়সী একটি মেয়ে সন্তান রয়েছে। বিয়ের কিছুদিন পর থেকেই মেয়ে ও জামাতা আমার বাড়িতেই থাকত। সিয়াম জোনাইল বাজারের আহসানের জুয়েলারি দোকানে কাজ করা অবস্থায় গত রমজান মাসে দোকান থেকে ৬০ ভরি রুপা নিয়ে পালিয়ে যায়।

জামাইয়ের নাম সিয়াম হোসেন (২৪)। তিনি পাবনার চাটমোহর উপজেলার দোলন গ্রামের কিরন আলীর ছেলে। আনোয়ারা জোনাইল বাজারের জাহাঙ্গীর আলমের স্ত্রী। এর আগে আনোয়ারার মেয়ে আলো খাতুন বড়াইগ্রাম থানায় স্বামী সিয়াম হোসেনের নামে লিখিত অভিযোগ করেছেন।

তিনি আরও বলেন, আমরা গরিব মানুষ। নাতনি ও মেয়েকে নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছি। নাতনি বাবার জন্য কান্নাকাটি করে। জুয়েলারি দোকান মালিক জামাইয়ের নেওয়া রুপা ফেরত চেয়ে চাপ দিচ্ছে। আবার তার মা অভিযোগ করছেন। সব মিলিয়ে মহায’ন্ত্রণায় পড়েছি। কিন্তু তাকে কোথাও খুঁজে পাচ্ছি না। তাই বাধ্য হয়ে জামাইয়ের সন্ধান পেতে ১০ হাজার টাকা পুরস্কার ঘোষণা দিয়েছি।

সিয়ামের মা রওশনা বেগম বলেন, আমার ছেলেকে গুম করে এখন নাটক করছেন বিয়ান (আনোয়ারা)। দ্রুত আমার ছেলের সন্ধান দিতে হবে।

বড়াইগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম সারওয়ার হোসেন বলেন, লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।