শারজায় ভিক্ষুকের কাছ থেকে ২৫ লক্ষ টাকা উদ্ধার

সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা বৃদ্ধি এবং অবৈধ ভিক্ষাবৃত্তির বিরুদ্ধে ল’ড়াইয়ের চলমান প্রচেষ্টায়, শারজাহ পুলিশ রমজান মাসে ১৪৪ জন ভিক্ষুককে গ্রে’প্তা’র করেছে। যার মধ্যে পুরুষ ও মহিলা উভয়ই রয়েছে। এই অভিযানের ফলে অ*পরাধীদের কাছ থেকে পাওয়া ৭৬,০০০ দিরহামেরও বেশি অর্থ জব্দ করা হয়েছে। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় আসে ২৫ লক্ষের বেশি।

এই অভিযানটি ছিল ‘ভিক্ষাবৃত্তি একটি অ*পরাধ, দান একটি দায়িত্ব’ সচেতনতামূলক প্রচারণার অংশ, যা শারজাহ পুলিশের জেনারেল কমান্ড কর্তৃক জনসাধারণকে শিক্ষিত করতে এবং অবৈধ উপায়ে দাতব্য দানের শোষণ রোধ করার জন্য শুরু করা হয়েছিল।

শারজাহ পুলিশের স্পেশাল টাস্ক বিভাগের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ওমর আল গাজাল এই সমস্যা মোকাবেলায় পুলিশ দলের নিষ্ঠার প্রশংসা করেছেন। তিনি জোর দিয়ে বলেছেন যে ভিক্ষাবৃত্তি কেবল জনসাধারণের উদারতাকেই কাজে লাগায় না বরং সম্ভাব্য নিরাপত্তা ঝুঁকিও তৈরি করে।

তিনি বাসিন্দাদের সতর্ক থাকার এবং সন্দেহজনক কার্যকলাপের প্রতিবেদন করার আহ্বান জানান। সম্প্রদায়ের সদস্যদের ৯০১ বা ৮০০৪০ নম্বরে কল করে ভিক্ষুকদের অবস্থান সম্পর্কে রিপোর্ট করতে এবং চিহ্নিত করতে উৎসাহিত করা হয়েছে, যা প্রচারণার সাফল্যে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখছে।

সাফল্যের চাবিকাঠি জনসাধারণের সহযোগিতা
শারজা পুলিশ নিরাপত্তা ও জনশৃঙ্খলা বজায় রাখার ক্ষেত্রে জনসাধারণের সহযোগিতার গুরুত্বের উপর জোর দিয়ে আসছে। কর্মকর্তারা সতর্ক করে বলেছেন যে অনেক ভিক্ষুক সংগঠিত নেটওয়ার্কের মধ্যে কাজ করে, বিশেষ করে রমজান মাসে ধর্মীয় ও দাতব্য অনুভূতি কাজে লাগায়।

এই প্রচারণাটি এই বার্তাটিকে আরও জোরদার করেছে যে দাতব্য দান সরকারী, লাইসেন্সপ্রাপ্ত সংস্থাগুলির মাধ্যমে করা উচিত যাতে প্রতারণা রোধ করে প্রকৃত প্রয়োজনে সাহায্য পৌঁছানো যায়।

শারজাহ পুলিশ ভিক্ষাবৃত্তি এবং অন্যান্য নিরাপত্তা উদ্বেগ মোকাবেলায় তাদের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছে, সমস্ত বাসিন্দাদের জন্য একটি নিরাপদ এবং সুরক্ষিত পরিবেশ বজায় রাখার জন্য অব্যাহত প্রচেষ্টার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।