ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় হা;ম;লা হলে ৩ দিনের মধ্যেই পানি সংকটে পড়বে কাতার

উপসাগরীয় দেশ কাতারের প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আব্দুলরহমান বিন জসিম আল-থানি সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, ইরানের উপকূলীয় পারমাণবিক স্থাপনায় হা;ম;লা হলে উপসাগরীয় অঞ্চলের সব দেশ মারাত্মক পানি সংকটে পড়বে। আমেরিকার প্রভাবশালী মিডিয়া ব্যক্তিত্ব টাকার কার্লসনের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন।

সাক্ষাৎকারটি প্রকাশিত হয় ৭ই মার্চ, যেদিন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প পারমাণবিক আলোচনার জন্য ইরানকে আমন্ত্রণ জানানোর কথা জানান এবং সামরিক পদক্ষেপের ইঙ্গিত দিয়ে বলেন, তিনি শান্তি চুক্তি দেখতে চান তবে অন্য উপায়েও সমস্যার সমাধান হতে পারে।

কাতারের প্রধানমন্ত্রী জানান, কাতার একটি সমীক্ষা চালিয়েছে যাতে দেখা গেছে, ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা হলে সাগরের পানি দূষিত হয়ে কাতার মাত্র তিন দিনের মধ্যেই পানি সংকটে পড়বে। এরপর কাতার পানির ধারণক্ষমতা বাড়ানোর জন্য জলাধার নির্মাণ করেছে। তবে এই ঝুঁকি সমগ্র অঞ্চলের জন্যই বিদ্যমান। হামলার ফলে পানি, মাছ, সমুদ্রের জীববৈচিত্র্য সবকিছুই ধ্বংস হয়ে যাবে।

প্রধানমন্ত্রী উপকূলের অপর পাশের স্থাপনাগুলোর কথা উল্লেখ করে বলেন, কেবল সামরিক উদ্বেগই নয়, কাতারের নিরাপত্তা ও সুরক্ষা সংক্রান্ত উদ্বেগও রয়েছে। তাই কাতার ইরানের বিরুদ্ধে সামরিক পদক্ষেপের বিরোধিতা করে এবং আমেরিকা ও ইরানের মধ্যে কূটনৈতিক সমাধান না দেখা পর্যন্ত তারা আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার পক্ষে।

তিনি আরও বলেন, তেহরান আলোচনায় আগ্রহী এবং অঞ্চলের দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নে মনোযোগী। তারা এমন একটি পর্যায়ে পৌঁছাতে চায় যা সবার জন্য স্বস্তিদায়ক।

উল্লেখ্য, ইরানের দক্ষিণে ১৯০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত কাতার অন্যান্য উপসাগরীয় দেশের মতো লবণাক্ত পানিকে মিষ্টি পানিতে রূপান্তর করে পানির চাহিদা মেটায়। ইরানের উপকূলে বোশেহরে একটি পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র রয়েছে। পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির জন্য গুরুত্বপূর্ণ ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ স্থাপনাগুলো দেশটির কয়েকশ কিলোমিটার অভ্যন্তরে অবস্থিত।

২০১৫ সালে ইরান পারমাণবিক কর্মসূচি সীমিত করার বিনিময়ে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের চুক্তিতে স্বাক্ষর করে। তবে ট্রাম্প ২০১৮ সালে এই চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রত্যাহার করে নেন। পাশ্চাত্যের দেশগুলো দীর্ঘদিন ধরে ইরানের বিরুদ্ধে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির চেষ্টার অভিযোগ করে আসছে। যদিও ইরান তা অস্বীকার করে।