রমজানে কাতার-সহ বিভিন্ন আরব দেশগুলোতে চলছে দাম কমানোর প্রতিযোগিতা

উপসাগরীয় বিভিন্ন মুসলিম দেশগুলোতে পবিত্র রমজান উপলক্ষে আবশ্যকীয় খাদ্যপণ্যের দামে ছাড় দেওয়া হয়। সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোও এই মাসে ছাড়মূল্যে পণ্য বিক্রয় করে। সুপারমার্কেট, চেইনশপ থেকে শুরু করে ছোট ছোট দোকানেও চলে মূল্যছাড়ের প্রতিযোগিতা। কোনো প্রতিষ্ঠান খাদ্যপণ্যে ৭৫ শতাংশ পর্যন্ত ছাড় দিয়ে থাকে।

মধ্যপ্রাচ্যের সবচেয়ে বড় দেশ সৌদি আরবে রমজান ও ঈদ উপলক্ষে ছাড় শুরু হয়েছে গত ৯ ফেব্রুয়ারি থেকে। সৌদি গেজেটের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় তাদের এক ঘোষণায় জানিয়েছে, রমজান ও ঈদ উপলক্ষে ছাড়কৃত মূল্যে পণ্য বিক্রি ৯ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হয়ে চলবে ৩ এপ্রিল পর্যন্ত।

এই ছাড় স্টোরগুলোর পাশাপাশি অনলাইন কেনাকাটায়ও মিলবে। অনলাইন প্রতিষ্ঠানগুলো খাদ্যপণ্য থেকে শুরু করে সব ধরনের পণ্যে ৭৫ শতাংশ পর্যন্ত ছাড় দিচ্ছে।

এর মধ্যে স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান ক্যারিফোর রমজানের অত্যাবশ্যকীয় ২০০-এর অধিক খাদ্যপণ্যে ৬০ শতাংশ পর্যন্ত মূল্যছাড় দিয়েছে। এসব পণ্যের মধ্যে রয়েছে ভোজ্য তেল, ওটস, পাস্তা, কফি ইত্যাদি।

উপসাগরীয় মুসলিম দেশ কাতার। রমজান এলেই প্রতিবছর দেশটির সরকারের পক্ষ থেকে আবশ্যকীয় পণ্যের দাম কমানোর ঘোষণা দেওয়া হয়। দেশটিতে মূল্যছাড়ের পাশাপাশি অনেক ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ফ্রিতেও খাবার বিতরণ করে।

কাতারের বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয় ভোক্তাদের দায়িত্বশীলতার সঙ্গে কেনাকাটা করার আহ্বান জানিয়ে বলেছে, বিক্রেতারা ছাড়মূল্যে পণ্য দিচ্ছে কি না তা গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে এবং ভোক্তারা এ ক্ষেত্রে নিয়মের লঙ্ঘন পেলে সেসব অভিযোগ যেন মন্ত্রণালয়ের অফিশিয়াল চ্যানেলে জানায়।

খালিজ টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, সরকারি উদ্যোগের ফলে এবারের রমজানে সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) ৬৪৪টি বৃহৎ সুপারমার্কেট ১০ হাজার পণ্যে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত ছাড় ঘোষণা করেছে। এছাড়া দেশটির অন্যতম বৃহৎ সুপারশপ লুলু হাইপারমার্কেট তাদের সাড়ে পাঁচ হাজার পণ্যে ৬৫ শতাংশ পর্যন্ত ছাড় দিয়েছে। সংযুক্ত আরব আমিরাতে এই প্রতিষ্ঠানটির ৬০০ শাখা রয়েছে।

মন্ত্রণালয়ের ভোক্তা রক্ষা ও বাণিজ্য নিয়ন্ত্রণ বিষয়ক পরিচালক সুলতান দারবিশ বলেন, ‘আরো কিছু প্রতিষ্ঠানও তাদের পাঁচ হাজার পণ্যে ৬০ শতাংশ পর্যন্ত ছাড় দিয়েছে। এই ছাড়ের মধ্যে ফল, সবজিসহ সব ধরনের খাদ্যপণ্য রয়েছে। রমজান মাসজুড়ে সরকারি কর্মকর্তারা বাজার তদারকি করবেন, যাতে কোনো ব্যবসায়ী পণ্যের দাম বাড়াতে না পারেন।’