কাতার আমিরের সম্পদের হিসাব গোপন রাখা হয় কেনো?
উপসাগরীয় দেশ কাতারের সাবেক আমির বা রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধান শেখ হামাদ বিন খলিফা আল থানির বড় ছেলে শেখ তামিম বিন হামাদ আল-থানি কাতারের আমির হন ২০১৩ সালে। এই মুহূর্তে থানি পরিবার বিশ্বের সবচেয়ে ধনী রাজবংশ।
ব্লুমবার্গের তথ্য অনুযায়ী, আল-থানি পরিবারের সদস্যদের মোট সম্পত্তির পরিমাণ ৩৩ হাজার ৫০০ কোটি ডলারেরও বেশি। তবে তার অর্থ-সম্পদের পরিমাণ আসলে কতো- রাষ্ট্রীয়ভাবে এ তথ্য গোপন রাখা হয়।
আল-থানি পরিবারের সদস্যদের মধ্যে যারা দেশে আছেন, তারা বসবাস করেন রাজধানী দোহায় রাজকীয় প্রাসাদে। বিশাল সেই প্রাসাদের অন্তত ১৫টি স্থানে স্বর্ণের কারুকাজ রয়েছে এবং সেটির গ্যারেজে কমপক্ষে ৫০০টি গাড়ি রাখা যায়। এছাড়া পার্শ্ববর্তী দেশ ওমানে আমিরের নিজস্ব একটি প্রাসাদ রয়েছে।
শেখ তামিমের প্রমোদতরি ‘কাতারা’ বিশ্বের সবচেয়ে দামি ও বিলাসবহুল প্রমোদতরীগুলোর মধ্যে একটি। ১২৪ মিটার লম্বা এই তরীটির দাম ৪০ কোটি ডলার। একটি হেলিপ্যাড এবং যাত্রীদের জন্য বেশ ক’টি ডেক রয়েছে কাতারায়। কাতারের আমিরের অবশ্য মোট চারটি প্রমোদতরি ছিলো। কিন্তু ২০১৯ সালে কাতার শিপ ইয়ার্ডে আগুন লেগে তিনটি প্রমোদতরি পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
‘কাতার আমিরি ফ্লাইট’ নামের একটি নিজস্ব উড়োজাহাজ পরিষেবা সংস্থা রয়েছে কাতারের আমিরের। শুধু রাজপরিবারের সদস্য এবং সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারাই কেবল এই পরিষেবা নিতে পারবেন। কাতার আমিরি ফ্লাইটের উড়োজাহাজের সংখ্যা মোট ১৪টি।
এসব উড়োজাহাজের মধ্যে তিনটি বোয়িং ৭৪৭-৮ বিমান রয়েছে। প্রতিটির দাম ৪০ কোটি ডলারের বেশি। বাকি ১১টি এয়ারবাস বিমান। এগুলোর প্রতিটির দাম ১০ কোটি থেকে ৫০ কোটি ডলার।
বুগাতি দিভো, ভেইরন, শিরন, লা ফেরারি অ্যাটার্তা, ল্যাম্বরগিনি সেনটেনারিও, মার্সিডিজ এএমজি সিক্স ইনটু সিক্স, রোলস-রয়েস ফ্যান্টমসেহ শীর্ষস্থানীয় ব্র্যান্ডের বেশ কিছু গাড়ি রয়েছে শেখ তামিমের সংগ্রহশালায়।
আমাজন শহরে বিশাল গর্ত, ধ্বংসের ঝুঁকিতে ঘরবাড়িআমাজন শহরে বিশাল গর্ত, ধ্বংসের ঝুঁকিতে ঘরবাড়ি
২০০৩ সালে ক্ষমতা নেওয়ার পরের বছর থেকে আন্তর্জাতিক ক্রীড়াঙ্গনে বিনিয়োগ করা শুরু করেন শেখ তামিম। বর্তমানে প্যারিসভিত্তিক ফুটবল ক্লাব সেইন্ট-জার্মেই’র মালিক তিনি। এছাড়া পর্তুগালের এসসি ব্রাগা, স্পেনের মালাগা সিএফে শেয়ার রয়েছে তার পরিবারের সদস্যদের।
২০২২ সালে বিশ্বকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট আয়োজনের মাধ্যমে ইতিহাস সৃষ্টি করেছে কাতার। এই টুর্নামেন্টকে সফল করতে গত ১২ বছরে ৩০ কোটি রুপি বিনিয়োগ করেছে দেশটি।