নাগরিকত্ব বাতিলের ঝড় কুয়েতে
মধ্যপ্রাচ্যের তেলসমৃদ্ধ দেশ কুয়েতে নাগরিকত্ব বাতিলের নজিরবিহীন ঘটনা ঘটছে। গত সেপ্টেম্বর থেকে এ পর্যন্ত প্রায় ৪২ হাজার মানুষের নাগরিকত্ব বাতিল করা হয়েছে, যা দেশটির ইতিহাসে একটি বড় নীতিগত পরিবর্তন হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। এই ঘটনার ফলে দেশটির নাগরিকদের মধ্যে ব্যাপক উদ্বেগ ও আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে।
এটি সাধারণত আদালতের কঠোর রায়ের ভিত্তিতে সীমিত সংখ্যক ব্যক্তির ক্ষেত্রেই ঘটে। তবে বর্তমানে কুয়েত সরকার বলছে, এটি জাতীয় স্বার্থে এবং আইনি কাঠামোর আওতায় নাগরিকত্ব পুনর্মূল্যায়নের অংশ।
নতুন আইনের আওতায়, যদি কোনো ব্যক্তি নৈতিক অবক্ষয়, অসততা বা রাষ্ট্রের নিরাপত্তার জন্য হুমকিরূপে বিবেচিত হয়, এমনকি যদি সে দেশের আমির বা ধর্মীয় ব্যক্তিত্বদের সমালোচনা করে, তবে তার নাগরিকত্ব বাতিল করা হতে পারে।
সংবাদমাধ্যম ফাইন্যান্সিয়াল টাইমস-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, প্রতি সপ্তাহে নাগরিকত্ব হারানো ব্যক্তিদের একটি তালিকা প্রকাশ করা হয়, যা উদ্বিগ্ন কুয়েতি নাগরিকরা মনোযোগ সহকারে পর্যবেক্ষণ করছেন।
মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-মনিটর জানিয়েছে, চলতি মাসের ৬ তারিখেই অন্তত ৪৬৪ জন নাগরিক তাদের নাগরিকত্ব হারিয়েছেন। এদের মধ্যে ১২ জনকে ‘অবৈধভাবে’ দ্বৈত নাগরিকত্ব ধারণের অভিযোগে এবং বাকি ৪৫১ জনকে ‘জালিয়াতি ও প্রতারণার’ দায়ে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে।
নাগরিক ও মানবাধিকার সংস্থাগুলো এ সিদ্ধান্ত নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছে এবং সতর্ক করে দিয়েছে যে, যদি বৈধ নাগরিকদেরও তাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়, তবে এটি একটি ভয়াবহ দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে।