কমতে শুরু করেছে মৌসুমি ফল তরমুজের দাম। তিনদিনের ব্যবধানে নওগাঁয় প্রতিকেজিতে দাম কমেছে প্রকারভেদে ৫-১০ টাকা। দাম কমে যাওয়ায় ভাগে তরমুজ কিনছেন ভোক্তারা।

মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) দুপুরে শহরের তাজের মোড়ে বিক্রি করতে দেখা গেছে। প্রয়োজনমত তরমুজ কিনতে পারায় খুশি অনেকে। এতে করে টাকাও কম খরচ হচ্ছে ভোক্তাদের।

জেলায় তরমুজ উৎপাদন না হওয়ায় বাহিরের জেলা থেকে নিয়ে আসেন ব্যবসায়ীরা। ব্যবসায়ীদের মাধ্যমে জেলার চাহিদা পূরণ হয়ে থাকে। মৌসুমের শুরুতে প্রতিকেজি তরমুজ বিক্রি হয়েছিল ৭৫-৮০ টাকা কেজি।

প্রতি পিস তরমুজের ওজন ছিল ৫-৭ কেজি। আকারে বড় এবং দাম চড়া হওয়ায় অনেকের পক্ষে কেনা সম্ভব হচ্ছিল না। ছোট পরিবারের যতটুকু প্রয়োজন কেনা সম্ভব হচ্ছিল না।ব্যবসায়ীদের বেচাকেনাও কম ছিল। কয়েক দফায় দাম কমে এখন প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০-৩৫ টাকায়। তবে তরমুজের আকার ৮-১০ কেজি।

আকারেও বড় হওয়ায় একার পক্ষে কিনতে পারছেন না অনেকে। এছাড়া পরিবারের যতটুকু প্রয়োজন তার থেকে বেশি হচ্ছে এবং টাকাও বেশি লাগছে। তাই পরিবারের সাধ্যমতো ভাগ করে তরমুজ কিনতে দেখা গেছে। এতে অর্ধেক কেনায় খরচও কম পড়ছে। এমন সুযোগ পাওয়ায় অনেকে খুশি। তবে ভাগে কিনতে হলে নিজেকেই আরেকজনকে খুঁজে নিতে হবে।

তরমুজের ক্রেতা নিজ্জু শেখ বলেন- তরমুজের দাম কিছুটা কমেছে। বাড়িতে সদস্য সংখ্যা কম। বড় আকারে তরমুজ কিনলে নষ্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। প্রতিকেজি তরমুজ ৩০ থেকে ৩৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কেজি দরে একটি তরমুজ কিনতে গেলে ৩০০-৩৫০ টাকা খরচ হবে। এতবড় তরমুজ প্রয়োজন নেই। তাই সাড়ে ১১ কেজি ওজনের একটি তরমুজ দুই ভাগে কিনলাম। এতে পরিবারের চাহিদা মিটবে এবং টাকাও কম খরচ হলো।

সুমন নামে আরেক ক্রেতা বলেন, ৩০ টাকা কেজি দরে ৮ কেজি ওজনের একটি তরমুজ কিনেছি। আগে দাম তুলনামূলক বেশি হওয়ায় কিনা সম্ভব হচ্ছিল না। তরমুজ কিনতে এসে দেখি কম দামে বিক্রি হচ্ছে। সুষ্ঠু ভাবে বাজার মনিটরিং করা হলে তরমুজের দাম স্বাভাবিক থাকবে। ভোক্তাদের জন্যও সুবিধা হবে।

নওগাঁ শহরের তাজের মোড়ের তরমুজ ব্যবসায়ী রিপন হোসেন বলেন, গত ৩ দিন আগেও প্রতিকেজি তরমুজ ৪৫-৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছিল। এখন ৩০-৩৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দাম কমে যাওয়ায় কিছুটা বেশি বিক্রি হচ্ছে। প্রতিটি তরমুজের ওজন প্রায় ৮-১২ কেজি। বড় আকারের তরমুজ একজনের পক্ষে কেনা সম্ভব হচ্ছে না। তবে অনেকে ভাগে তরমুজ কিনছেন। এক্ষেত্রে দুইজন কিনলে কেটে ভাগ করে দেয়া হচ্ছে। প্রতিদিন ২০-২৫ কেজি তরমুজ বিক্রি হচ্ছে।