চট্টগ্রামে থেকে চুরি করে ৪১০০ প্যান্ট সংযুক্ত আরব আমিরাতে (দুবাই) রপ্তানি করা হয়েছে। পরে পুলিশের অভিযানে এই ঘটনায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে চক্রের মূলহোতাসহ জড়িত পাঁচজনকে।

সোমবার (২৫ মার্চ) রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম নগর পুলিশের বন্দর বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার শাকিলা সুলতানা।

তিনি বলেন, গত ১ জানুয়ারি নগরের ডবলমুরিং এলাকায় একটি কাভার্ডভ্যান থেকে গাড়িটির চালকের সহযোগিতায় এই গার্মেন্টস পণ্যগুলো চুরি করা হয়। পরে নগরের ডবলমুরিং থানার শিশুপার্ক, আকবর শাহ থানার কুটুম বাড়ি রেস্তোরাঁ, হালিশহর থানার ঈদগা কাঁচা রাস্তার মোড়, ডিএমপির তুরাগ থানা এলাকায় পর্যায়ক্রমে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন- কাভার্ডভ্যান চালক মো. আবুল কাশেম পাইক (৫৩), মাসুম বিল্লাহ (৩২), ব্যবসায়ী জামাল হোসেন (৫০), মো. মঞ্জুরুল ইসলাম (৪২) ও রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান ওসাম বিডির স্বত্তাধিকারী মো. শাহ জালাল (৩৯)।

নগর পুলিশের বন্দর জোনের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার শেখ শরীফ উজ জামান কালবেলাকে বলেন, ডবলমুরিং থানার শিশুপার্ক এলাকায় অভিযান চালিয়ে এই ঘটনায় জড়িত কাভার্ডভ্যান চালক মো. আবুল কাশেম পাইককে গ্রেপ্তার করা হয়।

সে জিজ্ঞাসাবাদে জানায়, মূলত মাসুম বিল্লাহর সহযোগিতায় ৪১০০ পিস গার্মেন্টস পণ্য (প্যান্ট) বাইরে বিক্রির জন্য নামিয়ে রাখে তারা। পরে এই প্যান্ট ২ লাখ ৯০ হাজার টাকায় বিক্রি করে জামাল হোসেন নামে এক ব্যবসায়ীর কাছে। সেখান থেকে চালক কাশেম মাত্র ৬৫ হাজার টাকা ভাগ পায়।

অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার শেখ শরীফ উজ জামান আরও বলেন, পরে তাদের দেওয়া তথ্য হালিশহরের ঈদগা কাঁচা রাস্তার মোড় থেকে আমরা জামালকে গ্রেপ্তার করি।

জিজ্ঞাসাবাদে জামাল জানায়, বেশি লাভের আশায় ঢাকার তুরাগ থানা এলাকার মঞ্জুরুল ইসলামের কাছে প্যান্টগুলো বিক্রি করা হয়। পণ্যের গুণগত মান ভালো হওয়ায় চার লাখ টাকায় এগুলো কিনেন তিনি। মঞ্জুরকেও আমরা গ্রেপ্তার করি। মঞ্জুর এসব পণ্য ৭ লাখ ৭০ হাজার টাকায় ওসাম বিডির স্বত্তাধিকারী মো. শাহ জালালের (৩৯) কাছে বিক্রি করেন।

রপ্তানিকারক জালালকে গ্রেপ্তারের পর চাঞ্চল্যকর তথ্য পাওয়া যায় বলে জানান শেখ শরীফ উজ জামান। কালবেলাকে তিনি বলেন, সেইফ ফ্যাশন অ্যান্ড ট্রেডিং ও সেইফ কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে পণ্যগুলো সংযুক্ত আরব আমিরাতে (দুবাই) রপ্তানি করা হয়েছে। পণ্যগুলো সেখানে রিসিভ করেছেন। কামার আল হাসান নামে এক ব্যক্তি।

বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনজুর কাদের মজুমদার কালবেলাকে রাত ১২টায় জানান, আসামির অফিস থেকে পণ্য বিক্রয় ও টাকা লেনদেন সংক্রান্তে বিভিন্ন ডকুমেন্ট জব্দ করা হয়। এসব পণ্য দুবাই হতে পুনরায় বাংলাদেশে আনার চেষ্টা চলছে। আসামিদের বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। মামলার তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।