রেমিট্যান্স ইতিহাসের সর্বোচ্চ রেকর্ড এবার
চলতি মার্চে ২৭৫ কোটি ডলার রেমিট্যান্স আয় এসেছে। একক মাসে এত বেশি পরিমাণ রেমিট্যান্স আগে কখনো আসেনি বাংলাদেশে।
এর আগে ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে প্রবাসীদের ২৬৪ কোটি ডলার এসেছিল, ওটাই ছিল একক মাসে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স। তার আগে ২০২০ সালের জুলাই মাসে ২৬০ কোটি ডলারের রেকর্ড রেমিট্যান্স এসেছিল।
গত ২৪ মার্চ পর্যন্ত দৈনিক গড়ে রেমিট্যান্স এসেছে ১১ কোটি ৪৫ লাখ ডলার। বাকি সাত দিন এই ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকলে চলতি মাসে ৩ বিলিয়ন ডলারের ওপরে মাইলফলক রেমিট্যান্স আসবে।
ফলে বৈধ পথে রেমিট্যান্স আহরণ বেড়েছে। এছাড়া পবিত্র রমজান মাস চলছে। আসছে খুশির ঈদ। মুসলমানদের প্রধান ধর্মীয় উৎসবকে কেন্দ্র করে বাড়ছে বিভিন্ন কেনাকাটা। তাই পরিবার-পরিজনের বাড়তি খরচের কথা মাথায় রেখে বেশি বেশি অর্থ পাঠাচ্ছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা। যার কারণে রেকর্ড পরিমাণ রেমিট্যান্স পাচ্ছে বাংলাদেশ।
এদিকে রেমিট্যান্সের উচ্চ প্রবৃদ্ধির কারণে বৈদেশিক মুদ্রার সঞ্চয় বা রিজার্ভ ফের ২০ বিলিয়ন বা ২ হাজার কোটি ডলার ছাড়িয়ে গেছে। অন্যদিকে ডলারের দর বেশ কয়েক মাস যাবৎ ১২২ টাকায় স্থিতিশীল অবস্থায় রয়েছে।
চলতি অর্থবছর ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জুলাই থেকে ২৪ মার্চ পর্যন্ত প্রবাসীরা মোট ২ হাজার ১২৪ কোটি ডলার দেশে পাঠিয়েছেন, যা আগের অর্থবছরের তুলনায় ২৭ দশমিক ৭০ শতাংশ বেশি। আগের অর্থবছরে একই সময়ে রেমিট্যান্স এসেছিল এক হাজার ৬৬২ কোটি মার্কিন ডলার।
এছাড়া চলতি বছরে ফেব্রুয়ারি মাসে বৈধ পথে ২৫২ কোটি ৮০ লাখ মার্কিন ডলারের রেমিট্যান্স এসেছে, দেশীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ ৩১ হাজার ৯৪ কোটি টাকা (প্রতি ডলার ১২৩ টাকা হিসাবে)। দৈনিক গড়ে এসেছিল ৯ কোটি ডলার বা এক হাজার ১১০ কোটি টাকার রেমিট্যান্স।
সেপ্টেম্বরে ২৪০ কোটি ৪১ লাখ, অক্টোবরে ২৩৯ কোটি ৫০ লাখ মার্কিন ডলার এবং নভেম্বর মাসে ২২০ কোটি ডলার, ডিসেম্বরে ২৬৪ কোটি ডলার, জানুয়ারিতে ২১৯ কোটি এবং ফেব্রুয়ারি মাসে ২৫২ কোটি ৮০ লাখ ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। অর্থাৎ বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর টানা ৭ মাস দুই বিলিয়নের বেশি রেমিট্যান্স এসেছে বাংলাদেশে।