রোববার (৫ নভেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

দ্বিগুণ প্রণোদনার ঘোষণায় আবার সচল হতে শুরু করেছে দেশের রেমিট্যান্সের চাকা। অক্টোবরে এসেছে চলতি অর্থবছরের প্রথম চার মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স। এ মাসে দেশে সবচেয়ে বেশি রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রবাসীরা। দেশটি থেকে রেমিট্যান্স এসেছে ৩২ কোটি ৯৩ লাখ ২০ হাজার মার্কিন ডলার।

আরও পড়ুন জীবন নিয়ে বিখ্যাত ১০০ উক্তি

এ ছাড়া শীর্ষ ১০ দেশের তালিকায় আরও রয়েছে সৌদি আরব, ‍যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, ইতালি, কুয়েত, মালয়েশিয়া, কাতার, ওমান ও বাহরাইন। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৫ কোটি ৭ লাখ ৩০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স এসেছে সৌদি আরব থেকে।

আর ‍‍যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, ইতালি, কুয়েত, মালয়েশিয়া, কাতার, ওমান ও বাহরাইন থেকে অক্টোবরে রেমিট্যান্স এসেছে যথাক্রমে ২৩ কোটি ৪৫ লাখ ৯০ হাজার, ১৮ কোটি ৩৯ লাখ ৮০ হাজার, ১৭ কোটি ৮২ লাখ ৮০ হাজার, ১৫ কোটি ২০ লাখ ২০ হাজার, ১২ কোটি ৫৫ লাখ ১০ হাজার, ১০ কোটি ১০ লাখ ৬০ হাজার, ৭ কোটি ৪২ লাখ ৯০ হাজার ও ৫ কোটি ১৭ লাখ ১০ হাজার মার্কিন ডলার।

২০২৩-২৪ অর্থবছরের সেপ্টেম্বরেও সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রবাসীরা দেশে সবচেয়ে বেশি রেমিট্যান্স পাঠিয়েছিলেন। দেশটি থেকে রেমিট্যান্স এসেছিল ২৫ কোটি ৭১ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার। এ ছাড়া শীর্ষ ১০ দেশের তালিকায় আরও ছিল সৌদি আরব, ‍যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, কুয়েত, ইতালি, কাতার, মালয়েশিয়া, ওমান ও বাহরাইন। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২১ কোটি ৬১ লাখ ৫০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স এসেছিল সৌদি আরব থেকে।

এদিকে সদ্যবিদায়ী অক্টোবর মাসে দেশে সবচেয়ে বেশি রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন ঢাকা বিভাগের প্রবাসীরা। ঢাকায় রেমিট্যান্স এসেছে ৯৩ কোটি ৮৬ লাখ ডলার। এ ছাড়া সেপ্টেম্বরে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স এসেছে চট্টগ্রাম বিভাগে।

চট্টগ্রামে প্রবাসীরা রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন ৫৮ কেটি ৮৭ লাখ ডলার। সিলেট বিভাগে ২২ কোটি ১১ লাখ ডলার, খুলনা বিভাগে ৮ কোটি ৪২ লাখ ডলার, রাজশাহী বিভাগে ৬ কোটি ৬ লাখ ডলার, বরিশাল বিভাগে ৫ কোটি ১২ লাখ ডলার, ময়মনসিংহ বিভাগে ৩ কোটি ৮১ লাখ ডলার ও রংপুর বিভাগে ২ কোটি ৫১ লাখ ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা।

এদিকে রাষ্ট্র মালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ১৫ কোটি ৪৪ লাখ ৭০ হাজার মার্কিন ডলার। আর বিশেষায়িত ব্যাংকের মাধ্যমে ৫ কোটি ৮২ লাখ মার্কিন ডলার, বেসরকারি ব্যাংকের মাধ্যমে ১৭৫ কোটি ৮৮ লাখ ৬০ হাজার ডলার ও বিদেশি খাতের ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৬০ লাখ ৩০ হাজার ডলার।

এ ছাড়া অক্টোবরের ২৮ থেকে ৩১ তারিখের মধ্যে দেশে এসেছে ৩২ কোটি ৮২ লাখ ৮০ হাজার মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স। ২১ থেকে ২৭ অক্টোবরের মধ্যে দেশে এসেছে ৩৯ কোটি ৯২ লাখ ১০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স। অক্টোবরের ১৪ থেকে ২০ তারিখের মধ্যে দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ৪৬ কোটি ৮৮ লাখ ৪০ হাজার মার্কিন ডলার। ৭ থেকে ১৩ অক্টোবরের মধ্যে রেমিট্যান্স এসেছে ৪৫ কোটি ৬০ লাখ ৯০ হাজার ডলার। আর ১ থেকে ৬ অক্টোবর দেশে এসেছিল ৩২ কোটি ৫১ লাখ ৪০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স।

বাংলাদেশ ব্যাংক আরও জানায়, সেপ্টেম্বর মাসে ঢাকায় সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স এসেছে ৬৬ কোটি ৪৩ লাখ ডলার। এ ছাড়া সেপ্টেম্বরে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স এসেছে চট্টগ্রাম বিভাগে। চট্টগ্রামে প্রবাসীরা রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন ৩৬ কেটি ৩ লাখ ডলার। সিলেট বিভাগে ১৪ কোটি ৯৪ লাখ ডলার, খুলনা বিভাগে ৫ কোটি ৩৭ লাখ ডলার, রাজশাহী বিভাগে ৪ কোটি ২৯ লাখ ডলার, বরিশাল বিভাগে ৩ কোটি ২৯ লাখ ডলার, ময়মনসিংহ বিভাগে ২ কোটি ৩০ লাখ ডলার ও রংপুর বিভাগে ১ কোটি ৭২ লাখ ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা।

আরও পড়ুন: রেমিট্যান্সের পালে সুবাতাস, বাড়তি প্রণোদনায় উচ্ছ্বসিত প্রবাসীরা

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বলছে, সেপ্টেম্বর মাসে দেশে আসা ১৩৪ কোটি ৩৬ লাখ ৬০ হাজার মার্কিন ডলার রেমিট্যান্সের মধ্যে রাষ্ট্র মালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ১১ কোটি ৮৬ লাখ ৬০ হাজার ডলার। বিশেষায়িত ব্যাংকের মাধ্যমে ৩ কোটি ৫১ লাখ ডলার, বেসরকারি ব্যাংকের মাধ্যমে ১১৮ কোটি ৪৮ লাখ ৪০ হাজার ডলার ও বিদেশি খাতের ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৫০ লাখ ৬০ হাজার ডলার।

আর গত অর্থবছরের জুলাইতে ২০৯ কোটি ৬৩ লাখ ২০ হাজার, আগস্টে ২০৩ কোটি ৬৯ লাখ ৩০ হাজার, সেপ্টেম্বরে ১৫৩ কোটি ৯৬ লাখ, অক্টোবরে ১৫২ কোটি ৫৫ লাখ ৪০ হাজার, নভেম্বরে ১৫৯ কোটি ৫১ লাখ ৭০ হাজার, ডিসেম্বরে ১৬৯ কোটি ৯৭ লাখ, জানুয়ারিতে ১৯৫ কোটি ৮৮ লাখ ৭০ হাজার, ফেব্রুয়ারিতে ১৫৬ কোটি ৪ লাখ ৮০ হাজার, মার্চে ২০২ কোটি ২৪ লাখ ৭০ হাজার, এপ্রিলে ১৬৮ কোটি ৪৯ লাখ ১০ হাজার, মে মাসে ১৬৯ কোটি ১৬ লাখ ৩০ হাজার ও জুন মাসে এসেছিল ২১৯ কোটি ৯০ লাখ ১০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স।