পদ্মা সেতু বাংলাদেশের মানুষের জন্য বহুল প্রতীক্ষিত সেতু। কিন্তু সেই প্রতীক্ষা যেন বেড়েই যাচ্ছে। বারবার বাড়ছে চালু করার সময়।

দক্ষিনবঙ্গের মানুষের যেন আর তর সইছে না। সবাই অপেক্ষায় আছে কবে খুলবে এই সেতু।

এদিকে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম জানিয়েছেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যু; দ্ধে’র কারণে ইউরোপ থেকে কিছু মালামাল আসতে দেরি হওয়ায় পদ্মা ব্রিজের উদ্বোধনেও দেরি হচ্ছে।

আজ ৬ এপ্রিল বুধবার সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠক নিয়ে সংবাদ ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা জানান।

খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যু; দ্ধে; র কারণে মার্চ মাসের মধ্যে যেসব মালামাল আসার কথা ছিল সেগুলো আসতে পারেনি।

তাই পদ্মা সেতু যান চলাচলের জন্য খুলে দেয়ার জুন মাসে সে সময়সীমা ছিল তা কিছুটা দেরি হতে পারে।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম আরও জানান, এ জন্যই প্রধানমন্ত্রী বলেছেন ২০২২ সালের শেষ নাগাদ যান চলাচলের জন্য খুলে দিতে দ্রুত কাজ করা হচ্ছে।

উল্লেখ্য ২০২২ বছরের শেষ নাগাদ পদ্মা সেতু যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

আজ ৬ এপ্রিল বুধবার জাতীয় সংসদে সরকারি দলের এমপি শহীদুজ্জমান সরকারের টেবিলে উত্থাপিত এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।

এরপরে সাংবাদিকদের কাছে বিষয়টি ব্যাখ্যা করেন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।

২০১৪ সালের ১৭ জুন পদ্মা ব্রিজ নির্মানে আনুষ্ঠানিক চুক্তি হয় বাংলাদেশ সরকার ও চীনা চায়না মেজর ব্রিজ কোম্পানি।

সর্বনিম্ন দরদাতা হিসেবে চীনের কোম্পানি পদ্মাব্রিজের কার্যাদেশ পায়।