পেয়াজ যেন মাঝেমাঝে হয়ে উঠে সোনার হরিণ। বাংলাদেশের মানুষ পেঁয়াজ ছাড়া রান্নায় পছন্দ করে না। তাই পেঁয়াজ নিয়ে এত মাতামাতি।

এক দেড় বছর আগে পেঁয়াজ নিয়ে হয়েছিল বড় ধরনের হুলুস্থুল কান্ড। দাম বেড়ে ঠেকেছিল ৩০০ তে। আর তখন বিশ্বের বিভিন্ন জায়গা থেকে পেঁয়াজ আমদানি করে এই পরিস্থিতি সামাল দিতে হয়েছিল। ব্যবসায়ীদের পকেটও ভারী হয়েছিল।

তবে এবারের চিত্র ভিন্ন। লোকসানের আশঙ্কায় ইন্ডিয়া থেকে পেঁয়াজ আনা বন্ধ রাখছে দেশের ব্যবসায়ীরা। আইপির মেয়াদ শেষ হওয়ায় পূর্বে পর্যাপ্ত পেঁয়াজ আ’মদানি করায় এই ধরনের সিদ্ধান্ত নেন তারা।

আজ ১ এপ্রিল শুক্রবার হিলি স্থলবন্দরের আ’মদানি-রপ্তানিকারক গ্রু’পে’র প্রেসিডেন্ট হারুন উর রশিদ হারুন জানান, পর্যাপ্ত পেঁয়াজ মজুত এবং দেশের বাজারে মূল্য কম থাকায় লোকসানের আশঙ্কায় আমদানি কারকরা পেঁয়াজ আমদানি করছে না।

বন্দরে ৩ হাজার টনের বেশি পেঁয়াজ বিক্রির অপেক্ষায় রয়েছে।

হিলি স্থলবন্দর এবং স্থানীয় আড়ত সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, মঙ্গলবার আমদানি করা ইন্ডিয়ান ১১ ট্রাক পেঁয়াজ ক্রেতা না থাকায় অবিক্রীত রয়ে গেছে।

স্থানীয় আড়ৎগুলোতে পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকলেও ক্রেতা না থাকায় পচে যাচ্ছে এসব পেঁয়াজ। আড়ৎগুলোতে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১১-১২ টাকায়। খুচরা বাজারে সেটি ১৬ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

স্থানীয় পেঁয়াজ আমদানিকারক বাবু হোসেন বলেন, আইপির মেয়াদ শেষ হওয়ায় দেশের বাজার স্বাভাবিক রাখতে বেশি পেঁয়াজ আমদানি করি।

সরকার নতুন করে আইপি দেয়ায় আমদানি করা সে পেঁয়াজগুলো এখনো বিক্রি করতে পারিনি। বন্দরে ক্রেতা নেই, পেঁয়াজের মূল্যও কম। আমাদের এবার অনেক টাকা লোকসান গুনতে হবে।

আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের প্রেসিডেন্ট হারুন উর রশিদ হারুন আরও বলেন, ২৯ মার্চ আইপি মেয়াদ শেষ হয়ে যায়। পরে রমজানে বাজার স্থিতিশীল রাখতে সরকার নতুন করে পেঁয়াজ আমদানির জন্য আইপি অনুমোদন দেয়।

কিন্তু পর্যাপ্ত পেঁয়াজ থাকায় ব্যবসায়ীরা নতুন করে আমদানিতে আগ্রহী নয়। মঙ্গলবারের পর এখন পর্যন্ত কোনো পেঁয়াজ আমদানি হয়নি।

এদিকে পেয়াজের দাম পাইকারি বাজারের তুলনায় খুচরা বাজারে এতোটা কমেনি। অবশ্য এটা দেশের ক্ষেত্রে নতুন কিছু নয়।

পাইকারি ও খুচরা বাজারে সব সময়ের পন্যের দাম অনেক ব্যবধান থাকে। বিশেষ করে কাঁচা সবজির ক্ষেত্রে সব সময়ই পাইকারি ও খুচরা বাজারের ব্যবধান আকাশ পাতাল হয়ে থাকে।