নানা আলোচনা-সমালোচনার মধ্যেই আমিরাতের বাণিজ্য নগরী দুবাইয়ের সেই ব্যবসায়ীর সোনার দোকান উদ্বোধনে যোগ দেন আলোচিত কনটেন্ট ক্রিয়েটর হিরো আলম।

পুলিশ হ;;;; ত্যা মামলার আসামি স্বর্ণ ব্যবসায়ী আরাভ খানের সঙ্গে হিরো আলমের ছবিও বেরিয়েছে সংবাদমাধ্যমে। এমন একজন হ;;;;ত্যা মা;মলার আ;সামির দাওয়াতে কেন দুবাইয়ে গেলেন তা নিয়ে মুখ খুলেছেন হিরো আলম।

আজ বৃহস্পতিবার সকালে গণমাধ্যমকে হিরো আলম বলেন, ‘আমি জানি, সবই জানি, সারাক্ষণ আরাভ ভাইয়ের কাছেই থাকি। বিষয়টি জানি। এটা নিয়ে আমাদের কোনো কিছু করার নাই তো। আমরা আর্টিস্ট যেকোনো জায়গাতে যেতে পারি। কে কী সেটা তো আমরা দেখিনি।’

আগে থেকেই বিষয়টি জানতেন কিনা, এমন এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘না, এখানে আসার পর, যেদিন নিউজ হয়েছে তখন জানলাম।’

বিষয়টি নিয়ে মন্তব্য জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে আমার কোনো মন্তব্য নেই। কারণ আমরা আর্টিস্ট, আমরা যে কোনো জায়গায় যেতে পারি। আর এই যে নিউজ করেছে, উনি যে এক মাস ধরে প্রচার চালাচ্ছে, এক মাস আগে কোথায় গিয়েছিল। তার নামে এত কিছু আছে, এ নিয়ে যদি আগে নিউজ করত, আমরা ভেবে দেখতাম, অনুষ্ঠানে যাব কী যাব না।’

দুবাই থেকে আরও তিন দিন পরে দেশে ফিরবেন বলেও জানান হিরো আলম।

এদিকে হিরো আলম ছাড়াও ওই অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন জাতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। এছাড়া ওই অনুষ্ঠানে যোগ দিতে শোবিজের অনেক তারকাই দুবাই গেছেন। তাদের মধ্যে চলচ্চিত্র পরিচালক দেবাশীষ বিশ্বাস, চিত্রনায়িকা দীঘি, গায়ক নোবেল, রুবেল খন্দকার, বেলাল খান, জাহেদ পারভেজ পাভেলসহ আরও অনেকে।

প্রসঙ্গত, সেই জুয়েলারির মালিক রবিউল ইসলাম ওরফে আরাভ। তিনি বাংলাদেশের পুলিশ হ;;;;;ত্যা মা;মলার আ;সা;মি। আরাভ খান মূলত গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ার আশুতিয়া গ্রামের রবিউল ইসলাম ওরফে আপন ওরফে সোহাগ ওরফে হৃদয়।

পুলিশের বিশেষ শাখার পরিদর্শক মো. মামুন এমরান খান হ;;;;;ত্যা মামলার পলাতক আসামি তিনি। ভারতীয় পাসপোর্ট ব্যবহার করে বর্তমানে তিনি দুবাইয়ে অবস্থান করছেন।

২০১৮ সালে মামুন এমরান খানকে হ;;;;ত্যা;;;র পর লা;;;শ পুড়িয়ে গাজীপুরে একটি জঙ্গলে ফেলে দেওয়া হয়। ওই ঘটনায় হওয়া মা;মলার আসামি রবিউল ইসলাম ওরফে আরাভ। ওই সময় থেকেই তিনি প;লাতক।

পরে জানা যায়, যোগসাজশের মাধ্যমে প্রকৃত আসামি রবিউলের পরিবর্তে জে;;লে গেছেন চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার আবু ইউসুফ লিমন। পরে সত্য প্রকাশ করে দেন তিনি। আদালত বিষয়টি অধিকতর তদন্তের দায়িত্ব দেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশকে।

রবিউল ভারতে গিয়ে বিয়ে করে সে দেশের নাগরিকত্ব নেন আরাভ খান নামে। তার ভারতীয় পাসপোর্ট নম্বর ইউ ৪৯৮৫৩৮৯। ২০২১ সালের ৩১ অক্টোবর থেকে ২০২৪ সালের ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত তিন বছর মেয়াদি ভিসা পান তিনি।

আরাভ খান প্রবাসীদের কাছে নিজেকে বাংলাদেশি বলে পরিচয় দেন। ভারতীয় পাসপোর্ট অনুযায়ী আরাভ খানের জন্ম ১৯৯৩ সালের ৩১ জুলাই। ৩০ বছর বয়সি আরাভ খান দুবাইয়ে হাজার কোটি টাকা মূল্যের জুয়েলারি শপ খুলে সেখানকার ব্যবসায়ীদেরও চমকে দিয়েছেন।