সপ্তাহ দেড়েক আগে পৃথিবীর আলো দেখেছে জান্নাতুল মাওয়া। তবে দেখা হয়নি বাবার মুখখানি। কথা ছিল ছুটি মিললেই ফিরবেন বাবা। ছুঁয়ে দেখবেন প্রথম সন্তানকে।
অবশেষে বাবা ছুটি পেয়েছেন ঠিকই, তবে মিলেছে চিরছুটি। সাতদিনের মেয়েটি এখন না জানলেও বড় হয়ে জানবে বাবা মানুষের জন্য জীবন দিয়েছেন।






বলছি অন্যদের বাঁচাতে নিজের জীবন দেওয়া ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা মো. মনিরুজ্জামানের কথা। শনিবার চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের ভাটিয়ারিতে কনটেইনার ডিপোতে ভ;য়া;বহ বি;স্ফোর;ণ ও অ;গ্নি;কাণ্ডে নি;হ;ত হন তিনি।
মনিরুজ্জামানের বাড়ি কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলার সাতবাড়িয়া ইউনিয়নের নাইয়ারা গ্রামে।
তিনি একই গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা শামসুল হকের ছেলে ও চট্টগ্রামের কুমিরা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনে নার্সিং অ্যাডেনটেন্ট পদে কমর্রত ছিলেন।






তার স্ত্রী পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলায় বাবার বাড়িতে সন্তান নিয়ে থাকছিলেন। স্বামীর মৃ;ত্যু;র সংবাদ শুনে সন্তানকে নিয়ে শ্বশুরবাড়িতে ফেরেন।
ইউপি সদস্য জয়নাল আবেদীন বলেন, মনিরুজ্জামানের সাতদিন বয়সী এক কন্যাসন্তান রয়েছে।
তবে নিজের সন্তানের চেহারা সরাসরি দেখে যেতে পারেননি তিনি। সম্প্রতি মনির ঢাকা থেকে চট্টগ্রামে বদলি হয়েছিলেন।






বিয়ে করেছিলেন পটুয়াখালী। সেখানেই তার সন্তান হয়।
সেখানে ছুটি নিয়ে যাওয়ার কথা ছিল। তবে ছুটি নিয়ে আর বাড়ি আসা হয়নি, চিরছুটিতে চলে গেলেন।
নি;হ;তে;র মামা মীর হোসেন বলেন, শনিবার রাতে খবর পেয়েছি মনিরুজ্জামান আ;গু;ন নেভাতে গিয়ে দগ্ধ হয়।
পরে রোববার সকালে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গিয়ে দেখি তার লা;শ পড়ে আছে।






মনিরুজ্জামান নিজের পেশাগত কারণে জীবন দিলেন।
তার অবুঝ সন্তান নিয়ে স্ত্রী এবং পরিবার কী করবে ভেবে পাচ্ছি না।
বড় হয়ে জান্নাতুল জানবে তার বাবা দেশের মানুষের জন্য জীবন দিয়েছেন।
নাঙ্গলকোট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফারুক হোসেন বলেন,
রোববার সকালে খবর পেয়েছি মনিরুজ্জামান মা;রা গেছেন।
এ ঘটনায় আমরাও শোকাহত।





